বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫, ০৩:০২ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনামঃ
রাস্তা কেটে চাষাবাদ, চলাচলে দুর্ভোগ ‘দিনের ভোট রাতে’ করার অভিযোগ অনুসন্ধানে নামছে দুদক গাজা যুদ্ধবিরতি, বাইডেনকে কটাক্ষ করে যা বললেন ট্রাম্প ১০ লাখ টন চাল-গম আমদানি করছে সরকার: খাদ্য উপদেষ্টা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার বাইরে গিয়ে সংস্কার করার সুযোগ নেই : আমির খসরু সাত দিনের মধ্যে রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহার : আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল নিজ নামে ডিজিটাল মুদ্রা চালু ট্রাম্পের, অভিষেকের আগেই বাজিমাত পাকিস্তানে একাত্তরের পুনরাবৃত্তি হচ্ছে: ইমরান খান সিরাজগঞ্জে নিখোঁজের ৩ দিন পর নদীতে মিলল মাদ্রাসার ছাত্রদের মরদেহ সাবেক ৩ পুলিশ সদস্যকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত শিক্ষা ভবনের সামনে অবস্থান নিলেন ৩৫ প্রত্যাশীরা বদলে যাচ্ছে পুলিশ, র‍্যাব ও আনসার সদস্যদের পোশাক চৌদ্দগ্রামে সিঁদ কেটে বসতঘর থেকে নগদ টাকা সহ লক্ষাধিক টাকার মালামাল চুরি সোবহান গোলাপের যুক্তরাষ্ট্রের সম্পদ ক্রোকের নির্দেশ সাইফের ওপর হামলা: গ্রেফতার সন্দেহভাজন যুবক বাংলাদেশি নয়

পলিথিনে নিষেধাজ্ঞায় পাটের দাম বেড়েছে মণপ্রতি ৬০০ টাকা

পরিবেশ উপদেষ্টার তৎপরতায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার পলিথিন ব্যাগের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়ায় বাজারে প্রভাব পড়েছে পাটের বাজারে। বেড়েছে পাটের চাহিদা। তবে জোগান কম থাকায় ভালোমানের পাট গত বছরের একই সময়ের তুলনায় প্রায় ৬০০ টাকা বেশিতে বিক্রি হচ্ছে।

ফরিদপুরের কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত বছরের তুলনায় এই বছর পাটের উৎপাদন অনেক কম। কারণ হিসাবে কৃষকেরা বলেছেন গত মার্চ-এপ্রিলে পাট রোপণের সময় অতিরিক্ত তাপমাত্রার কারণে বীজের অঙ্কুরোদগম ভালোভাবে হয়নি।

এছাড়া বিগত বছরগুলোয় পাটের দাম কম হওয়ায় কৃষকেরা পাট চাষে আগ্রহ হারিয়েছেন। ফলে সামগ্রিকভাবে দেশে পাটের উৎপাদন কমেছে। বাংলাদেশ পাট অধিদপ্তরের তথ্য অনুসারে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে দেশে পাট উৎপাদন হয়েছিল ৮৪ লাখ ১৪ হাজার (প্রায় ১৮২ কেজিতে এক বেল)। চলতি অর্থবছরের এসে তা দাঁড়িয়েছে প্রায় ৭৫ লাখ ৭৪ হাজার বেল। পাট চাষি ও ব্যবসায়ীদের মতে, সরকার গত অক্টোবর থেকে সুপারমলে ও গত ১ নভেম্বর থেকে সারা দেশে পলিথিন ব্যাগ নিষিদ্ধ করায় পাটের দাম বেড়েছে।

আরিফুজ্জামান বলেন, মান ও রঙের ওপর নির্ভর করে প্রতি মণ পাট ফরিদপুরে তিন হাজার ২০০ টাকা থেকে তিন হাজার ৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গত বছর একই সময়ে তা ছিল দুই হাজার ৬০০ টাকা থেকে তিন হাজার ২০০ টাকা। দেশের অপর প্রধান পাট উৎপাদনকারী জেলা পাবনার পাট ব্যবসায়ী মোহাম্মদ মাহমুদুর নবী বলেন, পাটের দাম বেড়েছে মূলত চাহিদার জন্য। দাম বাড়লেও অনেক কৃষক পাট চাষে তেমন লাভ করতে পারেননি। পাট কাটার পর সার ও শ্রমিকের টাকা পরিশোধে অনেককে কম দামে পাট বিক্রি করতে হয়েছে।

ফরিদপুরের সালথা উপজেলার ছোট বাহিরদিয়া গ্রামের চাষি ইসরাত মাতুব্বর বলেন, আমাদের এলাকার বেশিরভাগ কৃষক পাট কাটার পরপরই কম দামে বিক্রি করে দিয়েছেন। পরে বিক্রির জন্য অনেকে কয়েক মন পাট ধরে রেখেছেন। সম্প্রতি তিনি তিন হাজার ৮০০ টাকা মন দরে তিন মন পাট বিক্রি করেছেন। আগামী বছর আবার পাট চাষে উৎসাহিত হয়েছেন তিনি।

দেশের
দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় জেলা মাগুরার রাউতারা গ্রামের কৃষক নব কুমার কুণ্ডু বলেন, এ বছর পাঁচ বিঘা জমিতে পাট চাষ করেছিলাম। প্রায় ৫০ নণ পাট পেয়েছি। একই পরিমাণ জমিতে আগে ৯৬ মন পাট পেয়েছিলাম। তিনি জানান, এ বছর ফলন কম হলেও পাটের আঁশের মান অনেক ভালো। তাই বেশি দাম পাওয়া যাচ্ছে।

সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন

2025 © জনপদ সংবাদ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

প্রয়োজনে যোগাযোগঃ ০১৭১৫-১২৫২৪৩